সময়ের অন্তর. Amy Blankenship

Читать онлайн книгу.

সময়ের অন্তর - Amy Blankenship


Скачать книгу
এবং কিওকো তয়ার দিকে থেকে মুখ ফিরিয়ে তার দিকে নজর দিল। ছেলেটি তার দিকে কিছুক্ষণ একদৃষ্টে তাকিয়ে রইল, আর তাতেই কিওকোর মনে হল কিছু একটা ঘটতে চলেছে। সে ছেলেটির কালো চোখ দুটিতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল যেগুলি তার বালক-সুলভ মুখের সঙ্গে কিছুটা বেমানান লাগছিল।

      তয়ার মধ্যেকার কোন একটি বিষয় কিওকোকে আকর্ষিত করছিল... যদিও সেই অনুভূতিটা সত্যিই তার ভাল লাগছিল কিনা তা সে বুঝতে পারছিল না। তয়াকে দেখতে খুবই আকর্ষক তাতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু তার বাইরেও কিছু একটা কিওকোকে কিছুটা হলেও অপ্রস্তুত করে তুলছিল। এই তরুণের মধ্যে থেকে একেবারে অনায়াসেই নিঃসারিত হওয়া সেই মায়াজাল ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টায় কিওকো তার চোখের পলক ফেলল। বাতাবরণটা দ্রুত বদলে গেল যখন কিওকোর ঠিক পাশ থেকেই প্রায় গর্জনের মতো একটা শব্দ তার কানে এল।

      তয়া তার শরীরে ঠাণ্ডা কোন কিছু আঁকড়ে ধরে ওঠার অনুভূতি পাচ্ছিল আর তাতেই সে সেই ছেলেটার উপর গর্জন করে উঠেছিল, যে তাকে তার হতবুদ্ধি অবস্থা থেকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনার জন্য একটু ঝাঁকিয়ে দিয়েছিল। এই অবস্থায় ছেলেটি যখন তয়ার চোখে চোখ রাখল তখন তার চোখ দুটি নিকষ কালো থেকে রূপালী-নীল রংয়ে পরিবর্তিত হয়ে গেল এবং সে ঘুরে দাঁড়িয়ে টেবিল ছেড়ে চলে গেল।

      কিওকো বিক্ষিপ্ত দৃষ্টিতে সুকির দিকে তাকাল, কিন্তু সুকি তাতে কোন পাত্তাই না দিয়ে নিজের কাঁধ একবার ঝাঁকিয়ে তার সামনে রাখার খাবারগুলোতে মন দিল। কিওকো ছাড়াও শিনবেও বেশ হতচিকত হয়েছিল এবং সে তার বিহ্বলতা ঢাকার জন্য কাশার মতো করে তার মুখের সামনে তার হাত রেখে গোটা ঘরটার মধ্যে দ্রুত হেঁটে-চলে বেড়ানো যুবকটির দিকে তাকিয়ে রইল। ‘তয়া’ নামক এই যুবকটির মধ্যে থেকে এক অদ্ভুত ধরনের আবহ কিওকোর মধ্যে প্রবেশ করছিল এবং ব্যাপরটা ঠিক কী তা উদ্ঘাটন না করা অবধি সে নিজেকে শান্ত


Скачать книгу